জয়তুন তেল চুলে ব্যবহারের নিয়ম
জয়তুন তেল চুলে ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান?জয়তুন তেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আপনি সঠিক জায়গাতে এসেছেন এই আর্টিকেলে আপনি জানতে পারবেন জয়তুন তেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম আরো জানতে পারবেন জয়তুন সব ফল সম্পর্কে।
চুলের প্যাক তৈরিতে: সামান্য পরিমাণ জয়তুনের তেল, ডিম ও মধু একসাথে ভালো করে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। এই একটি আপনি ভালোভাবে চুলে লাগিয়ে৩০-৪০ মিনিট পরে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে ১ দিন ব্যবহার করলে আপনার চুল ঝলমলেও সুন্দর থাকবে।
জয়তুনের তেল ব্যবহার করা হয় ব্রণ দূর করতে। ব্রণ থাকলে মুখের ত্বকের দেখতে ভালো লাগে না। অনেকে অনেক রকম ক্রিম ব্যবহার করে থাকে ব্রণ দূর করার জন্য। কিন্তু জয়তুন তেল ব্রণ দূর করতে অনেক ভালো উপকারে আসে।অন্য ক্রিমের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকলে জয়তুনের তেলের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাই এটি ব্যবহারের ত্বক সুস্থ থাকে এবং বিভিন্ন রকম ড্যামেজ থেকে ত্বককে দূর করে।
ব্রণ দূর করার জন্য জয়তুনের ফেসপ্যাক তৈরি
উপাদান
ত্বকের যত্নে জয়তুন তেল:
ত্বক সুন্দর রাখতে কে না চায় না। ত্বক সুন্দর রাখার জন্য অনেকে অনেক রকম ক্রিম ব্যবহার করে থাকে যার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে সেক্ষেত্রে টক ড্যামেজ হয়ে যায় অনেক রকম সমস্যা সৃষ্টি হয়ে। জয়তুন তেল ব্যবহার করলে ত্বকের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না এবং ত্বক সুন্দর থাকে। আসুন আমরা ত্বকের যত্নে জয়তুন তেলের ব্যবহার জেনে নি
উপাদান
মেকআপ করার পরে মেকআপ তুলতে করতে:
প্রতিটি মেয়ে প্রায় মেকাপ করতে পছন্দ করে থাকে। বিয়ে বাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান ঈদ পর্বে মেকআপ করতে মেরা পছন্দ করে থাকে। এই মেকআপ ঘুমানোর আগে তোলার সময় তাড়াতাড়ি তুলে ঘুমাতে যায়। সে ক্ষেত্রে যত্নের তেল খুব ভালো উপকারে আসে। নিচে দেয়া হলো
জয়তুনের তেল একটি বাটিতে নিয়ে কটন ভার্স সাহায্যে মুখে হালকা করে মুছে নিন। আপনার চোখের নিচেও মেকআপ তুলতে যতনে তেল ব্যবহার করুন আপনার মুখের মেকআপ উঠবে তার সাথে আপনার ত্বক কোমল সুন্দর হবে।
ঠোঁটের যত্নে যতন তেল:
উপাদান
আপনি আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। তাহলে আপনি জয়তুন ফল এবং জয়তুন তেল চুলে ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনাযা আপনাদের নিত্য প্রয়োজনে কাজে লাগবে যেটি তারা আপনি জয়তুন ফল এবং তেল ব্যবহার করা জানবেন।
ভূমিকা
জয়তুন তেল চুলে ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানুন জানতে হলে অবশ্যই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। এই আর্টিকেলে যে শুধু জয়তুন তেল চুলে ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে বলা হয়েছে তা নয়। আপনারা আপনাদের ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য জানতে পারবেন রতন তেল কিভাবে ব্যবহার করতে হয়। তাছাড়া জয়তুন তেল চুলের ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কেও জানতে পারবেন।জয়তুন তেল অনেক উপকারী শুধু চুলের যত্নেও নয় ত্বকের যত্ন রয়েছে অনেক উপকার।জয়তুন ফল কি
জয়তুন হলো একটি ফল যার বৈজ্ঞানিক নাম হচ্ছে Olea europaeaএবং ইংরেজিতে একে অলিভ বলে ডাকা হয়।। এটি প্রধানত ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের একটি ফল।এই ফলটি দেখতে সবুজ থেকে পাক অবস্থায় কালো রংয়ের হয়ে থাকে। জয়তুন ফল তেল অর্থাৎ অলিভ অয়েল বিশ্বজুড়ে খুব জনপ্রিয় এবং স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী।আরো পড়ুন:ওজন কমাতে টক দই খাওয়ার নিয়ম
পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের এটি একটি ঐতিহ্যবাহী ফল তবে বর্তমানে বিশ্বের সব দেশেই এখন চাষ করা হয়ে থাকে। খাবার হিসেবে ব্যবহার করা হয় আবার তেল হিসেবেও এটিকে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং স্বাস্থ্যকর চর্বি যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এবং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়। ত্বককে সতেজ করে এবং বয়সের ছাপ দূর করে।
চুল পড়া রোধ ও চুলকে ঘন মসৃণ করতে: চুল পড়া দূর করার জন্য দুই চামচ জয়তুন তেলের সাথে এক চামচ কালোজিরা মিশে ভালো করে মাথায় মেসেজ করুন। এরপর এভাবে এক ঘন্টা রেখে দিতে হবে। এক ঘন্টা পরে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে অন্তত২-৩ দিন করুন তাহলে আপনার চুল পড়া রোধ হবে এবং চুল হবে মসৃণ স্বাস্থ্যজ্জ্বল।
চুলের খুশকি দূরী করণ: চুলের খুশকি দূর করতে জয়তুনে তেল অনেক উপকারী। এজন্য জয়তুন তেলের সাথে লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে ভালো করে মাথাতে হাত দিয়ে মেসেজ করুন। এরপর ২০-৩০ মিনিট এভাবে রেখে দেন। ২০-৩০ হয়ে গেলে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন এভাবে সপ্তাহে ২-৩ করলে করলে চুলের খুশকি দূর হবে।
জয়তুন ফল খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা কি
জয়তুন ফল অন্যান্য ফলের মতই একই নিয়মে খাওয়া যায় তবে এর কিছু আলাদা নিয়ম রয়েছে। তার পরেও পুষ্টি সঠিক উপাদান উপকারে পেতে গেলে কিছু নিয়ম অবশ্যই মেনে নিতে হবে।সঠিক নিয়মে খেলে উপকারগুলো সঠিক নিয়মে পাওয়া যায়। তা না হলে শুধু ফল হিসেবে খাওয়াই হবে তার কোন পুষ্টিগুণ পাবেন না। তাই পরামর্শ অনুযায়ী চলুন আমরা দেখে নি কিভাবে জয়তুন ফল খেতে হবে।জয়তুন ফল খাওয়ার নিয়ম
- কাঁচা জয়তুন ফলে লবণ বেশি থাকে তাই পানিতে কিছুক্ষণ ভিজিয়ে রেখে খেলে ভালো হয় তাতে লবণ কমবে।
- প্যাকেটজাতকরণ জয়তুন সরাসরি সালাতে মিশিয়েও খাওয়া যেতে পারে কিন্তু প্যাকেটজাতকরণ জয়তুন ফল ভিনেগার বা স্যালাইন এর মধ্যে সংরক্ষণ করা থাকে বলে কার আগে অতিরিক্ত লবণ ও এসিড দূর করে নেয়াই ভালো।
- পরিমাণ মতো প্রতিদিন জয়তুন ফল খাওয়া ভালো যেমন ধরেন ৫-৭ টি জয়তুন ফল খাওয়া উপকারী। এর চেয়ে অতিরিক্ত জয়তুন ফল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন কারণ যত ফলে অনেক লবণের পরিমাণ থাকে যার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।
- জয়তুন ফলের সাথে বিভিন্ন রকম সবজি যেমন টমেটো, বেলপেপার, শসা ইত্যাদি সে সালাত করলে তা পুষ্টিকর হয় এবং খেতেও ভালো লাগে। প্রোটিন সমৃদ্ধ পুষ্টি ভারসাম্য বজায় থাকে।
- জয়তুনের পাতা চা হিসেবেও ব্যবহার করা হয়ে থাকে।। যেমন ধরেন তা যেভাবে বাড়ানো হয় জইতুনের পাতা দিয়েও ঠিক সেই ভাবেই পানিতে ফুটিয়ে পাতা দিলে তা চা তৈরি হয়। এটি এন্টিঅক্সিডেন্ট ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্যযুক্ত।
- জয়তুনের তেল বিভিন্ন রকম খাবার তৈরিতে ব্যবহার করা হয় যেমন পাস্তা গ্রিল বা বিভিন্ন রকম সালাদ, ব্রেড ইত্যাদি তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
- গর্ভবতী অবস্থায় অনেক নারীদায় জয়তুন তেল বা ফল হিসাবে খেতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে যদি শারীরিক কোন সমস্যা থাকে তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে খেতে পারেন।
- অনেক অঞ্চলে জয়তুনের ফল কে আচার হিসেবে খেয়ে থাকে। জয়তুনের ফল দিয়ে অনেক রকম আচার তৈরি করা হয়। এ সময় লবনের পরিমাণটা কম রাখতে হয় কারণ যতনে অতিরিক্ত লবণ থাকে।
- ১-২ চামচ যতল তেল খালি পেটে খেলে ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায় তার সাথে হজম শক্তিতে ভালো কাজ করে। এই তেল সবজি মাছ মাংস রান্না করতে ব্যবহার করা যেতে পারে।
- শুকনো জয়তুন ফল স্ন্যাকস হিসেবে ব্যবহার করা যায়। এটি ক্ষুধা মিটাতে সহায়তা করে।
- শিশুদের ক্ষেত্রেও জয়তুন ফল খাওয়া যেতে পারে। প্রথমে তারা খেতে না পারলে ছোট অবস্থাতে যতন ফল পিষে পেস্ট করে খাওয়াতে পারেন।
জয়তুন ফল খাওয়ার উপকারিতা কি
- জয়তুন এ রয়েছে পলিফেলন উপাদান যাহারের ক্ষয় রোধ করে এবং অস্টিওপোরোসিসের ঝুঁকি কমায়।
- আদ্রতা ধরে রাখতে সহায়তা করে এবং ত্বককে উজ্জ্বল মলিন করতে সহায়তা করে। এতে রয়েছে আন্টি ইনফ্লামেটরি যা ত্বকের জ্বালা প্রদাহ কমাতে সহায়তা করে।
- জয়তুনের পরিমাণ মতো ফ্যাট রয়েছে যা দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখতে সহায়তা করে এবং ক্ষুধা কমিয়ে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
- জয়তুনের রয়েছে গ্লুকোজ মেটাবোলিজম যা রক্তের শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে।
- জয়তুন ফল মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা বাড়ায় এবং আলঝাইমার রোগের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
- জয়তুন ফল এবং জয়তুনের তেল পলিফেনল এবং মনোআনস্যাচুরেটর ফ্যাট সমৃদ্ধ যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। যাদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে তাদের জন্য খুবই ভালো উপকারী।
- জয়তুন লিভারের টক্সিন পদার্থকে পরিষ্কার করতে সহায়তা করে লিভারের সমস্যা যত অসুখ রয়েছে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
- যতনে থাকা পলিফেনাল স্নায়ুতন্ত্রেরকোষ রক্ষা করতে সহায়তা করে। এবং স্মৃতিশক্তি উন্নত করে মানসিক চাপ কমাতে সহায়তা করে।
- জয়তুন এ থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের বলিরেখা এবং বার্ধক্য প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে।
- জয়তুন এ প্র্যাকটিক ফ্ল্যাট ও ক্যালরি থাকে যা অতি দ্রুত শক্তি প্রদাহ করতে সহায়তা করে এবং শরীরকে দীর্ঘ সময় ধরে কার্যক্ষম করতে সহায়তা করে।
- জয়তুনের ফল শরীরের অম্লতা কমিয়ে pH এর মাত্রা ঠিক রাখতে সহায়তা করে।
- জয়তুনের তেল থেকে সেরো টোনিন হরমোন মিশ্রণে সাহায্য করে এবং তা থেকে মানসিক চাপ ও বিষণ্নতা দূর করতে সহায়তা করে।
- জয়তুনের ওমেগা ৩- ফ্যাটি অ্যাসিড রক্তজমাট বাধার ঝুঁকি কমিয়ে হার্ট এবং মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে।
- জয়তুনের ফল ইনসুলিনের কার্যকারিতা বাড়িয়ে রক্তের শর্করা মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে যার ফলে ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য খুব উপকারী।
- জয়তুনে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি যা ফুসফুসের প্রদাহ কমায় এবং শ্বাসযন্ত্র কে সুস্থ রাখতে সহায়তা করে।
- শিশুদের খাদ্য তালিকায় যতনে তেল রাখলে তাদের হাড় ও শ্রয়তন্ত্রের বিকাশের সহায়তা হয়।
- জয়তুনে থাকা ফাইবার ও পলিফেনাল অন্ত্রের ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে।
- জয়তুনের তেল মাথায় দিলে মাথার তালুর রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে এবং চুল পড়া কম করে গোড়া থেকে চুলকে মজবুত করে।
- জয়তুনে রয়েছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট যা শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে সহায়তা করে।
- জয়তুনের তেল পৃত্তিথলির কার্যকারিতা উন্নত করে এবং পৃত্তিথলিরতে যে পাথর তৈরি হয় তা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
- তেল ত্বকের মলিনতা দূর করে এবং ত্বকে প্রাকৃতিক এনে দেয়। ত্বকের পিগমেন্টেশন কমাতে সহায়তা করে।
- জয়তুনের তেল হজম শক্তিতে ভালো কার্যকরী ক্ষমতা সৃষ্টি করতে পারে।
জয়তুন তেল চুলে ব্যবহারের নিয়ম
জয়তুন তেল হচ্ছে একটি পুষ্টি করতেন যা আমাদের চুল পড়া বন্ধ করে চুলকে ঘন মসৃণ করে এবং চুলের গোড়াকে শক্ত করে। আমাদের ব্যবহারের জন্য অনেক উপকারী। আমাদের চুলের ব্যবহারের জন্য জয়তুন তেলের নিয়ম ও উপকারিতা নিচে দেওয়া হলচুল পড়া রোধ ও চুলকে ঘন মসৃণ করতে: চুল পড়া দূর করার জন্য দুই চামচ জয়তুন তেলের সাথে এক চামচ কালোজিরা মিশে ভালো করে মাথায় মেসেজ করুন। এরপর এভাবে এক ঘন্টা রেখে দিতে হবে। এক ঘন্টা পরে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে অন্তত২-৩ দিন করুন তাহলে আপনার চুল পড়া রোধ হবে এবং চুল হবে মসৃণ স্বাস্থ্যজ্জ্বল।
চুলের খুশকি দূরী করণ: চুলের খুশকি দূর করতে জয়তুনে তেল অনেক উপকারী। এজন্য জয়তুন তেলের সাথে লেবুর রস একসাথে মিশিয়ে ভালো করে মাথাতে হাত দিয়ে মেসেজ করুন। এরপর ২০-৩০ মিনিট এভাবে রেখে দেন। ২০-৩০ হয়ে গেলে ভালো করে চুল ধুয়ে ফেলুন এভাবে সপ্তাহে ২-৩ করলে করলে চুলের খুশকি দূর হবে।
আরো পড়ুন:কোয়েল পাখির ডিমে কি এলার্জি আছে
চুলের যত্নে:২-৩ চামচ জয়তুন তেল হালকা গরম করে নিয়ে এরপর আঙ্গুল দিয়ে চুলের গোড়াতে ভালো করে মেসেজ করে করে দেন। এরপর এভাবে ৫-১০ মিনিট মেসেজ করুন।১-২ ঘন্টা পরে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দুইবার এভাবে করুন তাহলে আপনার চুল অনেক সুন্দর ঝলমলে এবং চুল পড়া দূর হবে।চুলের প্যাক তৈরিতে: সামান্য পরিমাণ জয়তুনের তেল, ডিম ও মধু একসাথে ভালো করে মিশিয়ে একটি প্যাক তৈরি করুন। এই একটি আপনি ভালোভাবে চুলে লাগিয়ে৩০-৪০ মিনিট পরে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহে ১ দিন ব্যবহার করলে আপনার চুল ঝলমলেও সুন্দর থাকবে।
জয়তুন তেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম
প্রাচীন কাল থেকেই জয়তুনের তেল রূপচর্চায় ব্যবহার করে আসছে। যতনে তেল চুলের জন্য যেমন উপকারী তেমন ত্বকের জন্য উপকার। জয়তুনের তেল চুল ও ত্বকের যত্নে নিয়মিত ব্যবহার করলে অনেক ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। চুলের ক্ষেত্রে চুলের গোরা শক্ত উজ্জ্বল করে চুলকে ড্যামেজ হতে রক্ষা করে। এবং ত্বকের যত্নে স্কিন ড্যামেজ হতে দেয় না। তাহলে আসুন নিচে জেনে নিই জয়তুনের তেলের মুখে ব্যবহারের নিয়ম
ব্রণ দূর করতে জয়তুনের তেল ব্যবহার করা হয় ব্রণ দূর করতে। ব্রণ থাকলে মুখের ত্বকের দেখতে ভালো লাগে না। অনেকে অনেক রকম ক্রিম ব্যবহার করে থাকে ব্রণ দূর করার জন্য। কিন্তু জয়তুন তেল ব্রণ দূর করতে অনেক ভালো উপকারে আসে।অন্য ক্রিমের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকলে জয়তুনের তেলের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নাই এটি ব্যবহারের ত্বক সুস্থ থাকে এবং বিভিন্ন রকম ড্যামেজ থেকে ত্বককে দূর করে।
ব্রণ দূর করার জন্য জয়তুনের ফেসপ্যাক তৈরি
উপাদান
- জয়তুনের তেল ১ টেবিল চামচ
- মধু ১/৪ কাপ
- দই ১/৩ কাপ
ত্বকের যত্নে জয়তুন তেল:
ত্বক সুন্দর রাখতে কে না চায় না। ত্বক সুন্দর রাখার জন্য অনেকে অনেক রকম ক্রিম ব্যবহার করে থাকে যার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে সেক্ষেত্রে টক ড্যামেজ হয়ে যায় অনেক রকম সমস্যা সৃষ্টি হয়ে। জয়তুন তেল ব্যবহার করলে ত্বকের কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয় না এবং ত্বক সুন্দর থাকে। আসুন আমরা ত্বকের যত্নে জয়তুন তেলের ব্যবহার জেনে নি
উপাদান
- জয়তুন তেল ২ টেবিল চামচ
- লেবুর রস ১ টেবিল চামচ
- সামুদ্রিক লবণ ১ চিমটি
মেকআপ করার পরে মেকআপ তুলতে করতে:
প্রতিটি মেয়ে প্রায় মেকাপ করতে পছন্দ করে থাকে। বিয়ে বাড়ি থেকে শুরু করে বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান ঈদ পর্বে মেকআপ করতে মেরা পছন্দ করে থাকে। এই মেকআপ ঘুমানোর আগে তোলার সময় তাড়াতাড়ি তুলে ঘুমাতে যায়। সে ক্ষেত্রে যত্নের তেল খুব ভালো উপকারে আসে। নিচে দেয়া হলো
জয়তুনের তেল একটি বাটিতে নিয়ে কটন ভার্স সাহায্যে মুখে হালকা করে মুছে নিন। আপনার চোখের নিচেও মেকআপ তুলতে যতনে তেল ব্যবহার করুন আপনার মুখের মেকআপ উঠবে তার সাথে আপনার ত্বক কোমল সুন্দর হবে।
ঠোঁটের যত্নে যতন তেল:
উপাদান
- জয়তুনের তেল কয়েক ফোটা
- লেবুর রস কয়েক ফোটা
- গুঁড়ো বাদামী চিনি পরিমাণ মতো
লেখকের শেষ কথা
প্রিয় পাঠক আগে আর্টিকেলে আপনারা জানতে পেরেছেন জয়তুন তেল সম্পর্কে। জয়তুন তেল চুলে ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জানুন হবে তার নিয়ম সম্পর্কে জেনেছেন। তার সাথে জেনেছেন । জয়তুন ফল খাওয়ার উপকারিতা কি এবং জয়তুন তেল মুখে ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে। জয়তুন তেল চুলের ব্যবহারের নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিশ্চয়ই আপনারা ব্যবহার করবেন। আপনারা যদি উপকার পান অবশ্যই আমার আরো আর্টিকেল আছে সেগুলো পড়ে নিয়ম তান্ত্রিকভাবে কাজ করতে পারেন।আরো পড়ুন:মরিয়ম ফুল কিভাবে খেলে বাচ্চা হয়
আশা করি ভালো লেগেছে এবং উপকৃত হয়েছেন। আপনাদের বন্ধুবান্ধব এবং আত্মীয়-স্বজন এর সাথে আর্টিকেলটি শেয়ার করুন যেন তারাও উপকৃত হয়। প্রিয় পাঠক আমারে আর্টিকেলটি আপনাদের উপকারে আসলে অবশ্যই আপনারা এই ওয়েবসাইটটি ভিজিট করবেন এবং নতুন নতুন আরো আর্টিকেল পড়ার জন্য আমাকেও উৎসাহিত করবেন কমেন্ট করে। আপনার মূল্যবান সময় দেয়া আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
.png)

.png)
সাদ বি ডি নীতিমালা; মেনেকমেন্টকরুনপ্রতিটিকমেন্টরিভিউকরাহয়;
comment url