মাশরুমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
মাশরুমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন বিষয়ে আমার এই আর্টিকেলটি।আপনারা কি জানতে চান মাশরুমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে?মাশরুমে কি এলার্জি আছে সে সম্পর্কেও আর্টিকেলে লেখা হয়েছে। তাহলে আপনি আমার আর্টিকেলটি সম্পূর্ণটাই মনোযোগ সহকারে পড়ুন। মাশরুমের অপকারিতা সম্পর্কেও আর্টিকেলে জানতে পারবেন।
আপনি কি মাশরুম সম্পর্কে জানেন না। মাশরুম দিয়ে কয়েক রকম রান্না করা যায় যা সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। মাশরুম আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। মাশরুম খাওয়ার ফলে শরীরের অনেক রকম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয় এবং আমাদের রূপচর্চায় ব্যবহার করা হয়।মাশরুমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন সম্পন্নটি পড়ুন।
ভূমিকা
মাশরুমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন এ বিষয়ে আর্টিকেলের সম্পূর্ণ পড়ে বুঝতে পারবেন। মাশরুমে যে শুধু উপকারীতে রয়েছে তা না অপকারিতাও রয়েছে। মাশরুমে এলার্জিও রয়েছে সে বিষয়েও আপনারা সঠিক ধারণা পাবেন। মাশরুম খেতে অনেক সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর। যা বিভিন্ন রকম রেস্টুরেন্টে মাশরুম দিয়ে অনেক রকম রেসিপি তৈরি করা হয়।
মাশরুম শুধু এক রকমের হয় তা নয় বিভিন্ন রকমের মাশরুম হয়ে থাকে। বিভিন্ন রকম মাশরুমের দাম বিভিন্ন রকম। অনেক মাশরুম আছে যেগুলো খাওয়া ঠিক নয় সেগুলো খেলে মানুষ অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।তাই আপনারা মাশরুম সম্পর্কে সঠিক ধারণা জেনে সঠিক মাশরুমটি খাবেন।
মাশরুমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
মাশরুম এখন অনেকের কাছেই জনপ্রিয় একটি খাবার হিসাবে পরিচিত। মাশরুম অনেকের পছন্দ করে না। কিন্তু মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।মাশরুমে শুধু উপকারী যে রয়েছে তা নয় অপকারিতা রয়েছে। মাশরুমে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেল এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। তারপরেও বলা হয় মাশরুমের অপকারিতা রয়েছে । তাই যে কোন জিনিস অতিরিক্ত খাওয়া যাবে না। পরিমাণ মতোই খাওয়া প্রয়োজন। তাহলে চলুন তাড়াতাড়ি জেনে নেই মাশরুমের উপকারী দিকগুলো।
মাশরুমের পুষ্টি উপাদান গুলোর পরিমাণ জানতে চাইলে আমার এই আর্টিকেলে সম্পূর্ণ পড়লেই পেয়ে যাবেন।
উপাদানের নাম
- ভিটামিন ও মিনারেল ৫৮-৬০ গ্রাম
- চর্বি ৪-৬ গ্রাম
- আমিষ২৫-৩৫ গ্রাম
- শর্করা৫-৭ গ্রাম
মাশরুমের উপকারিতা
মাশরুমের পুষ্টি উপাদান গুলো থেকে জানা যায় যে মাশরুম খেলে শারীরিকভাবে কতটা উপকৃত হওয়া যাবে।
ওজন নিয়ন্ত্রণে সহায়তা
মাশরুম খেলে ক্ষুধা কম লাগে এর কারণ হচ্ছে আর পাকস্থলী ভরপুর করে রাখে। রক্তের শর্করাও নিয়ন্ত্রণ করে ।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে
মাশরুম ত্বককে উজ্জ্বল ও কোমর রাখতে সহায়তা করে। মাশরুমে থাকা নিয়াসিন ও রিবোফ্লাবিন এর কারণে সম্ভব হয়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে মাশরুম অপরিহার্য। মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখে।
হজম শক্তি বাড়াতে
মাশরুমে আশ ও এনজাইম থাকায় খাবার অতি সহজে হজম হয়। এবং এর থেকে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি ঘটায় কোলনকে পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে
মাশরুমে শর্করা থাকায় এটি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ রাখে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে খুবই ভালো উপাদান।
ক্যান্সার প্রতিরোধে
মাশরুমে থাকা রাসায়নিক পদার্থ ফাইটো মেক কেমিক্যাল টিউমার বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। মাশরুম খাওয়ার ফলে বেস্ট ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
ভিটামিন ডি
মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে যে মাশরুমগুলো সূর্যের আলোতে জন্মে। মাশরুমে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস যা হারকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে
মাশরুম ঠান্ডা থেকে রক্ষা করায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
মাশরুম খেলে ক্ষুধা কম লাগে এর কারণ হচ্ছে আর পাকস্থলী ভরপুর করে রাখে। রক্তের শর্করাও নিয়ন্ত্রণ করে ।
ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে
মাশরুম ত্বককে উজ্জ্বল ও কোমর রাখতে সহায়তা করে। মাশরুমে থাকা নিয়াসিন ও রিবোফ্লাবিন এর কারণে সম্ভব হয়।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে মাশরুম অপরিহার্য। মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম ও সোডিয়াম থাকায় রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে ও হৃৎপিণ্ডকে সুস্থ রাখে।
হজম শক্তি বাড়াতে
মাশরুমে আশ ও এনজাইম থাকায় খাবার অতি সহজে হজম হয়। এবং এর থেকে ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধি ঘটায় কোলনকে পুষ্টি শোষণে সহায়তা করে।
ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে
মাশরুমে শর্করা থাকায় এটি রক্তের শর্করা নিয়ন্ত্রণ রাখে ডায়াবেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে খুবই ভালো উপাদান।
ক্যান্সার প্রতিরোধে
মাশরুমে থাকা রাসায়নিক পদার্থ ফাইটো মেক কেমিক্যাল টিউমার বৃদ্ধিতে বাধা দেয়। মাশরুম খাওয়ার ফলে বেস্ট ক্যান্সার ও প্রোস্টেট ক্যান্সারের ঝুঁকি কমাতে সহায়তা করে।
ভিটামিন ডি
মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডি রয়েছে যে মাশরুমগুলো সূর্যের আলোতে জন্মে। মাশরুমে রয়েছে ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস যা হারকে শক্তিশালী করতে সহায়তা করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে
মাশরুম ঠান্ডা থেকে রক্ষা করায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে।
মাশরুমের অপকারিতা
অতিরিক্ত মাত্রায় কোন কিছুই খাওয়া উচিত নয়। কারণ প্রতিটা জিনিসেরই অপকারী দিক রয়েছে। তাই নিয়ম মাত্রার মধ্যে খাওয়া দরকার। নিয়মিত মাশরুম খেলে শরীরের ভিটামিন ও পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি পায়। যার ফলে শরীরে অনেক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।সব মাশরুম যে আমাদের জন্য উপকারী তা নয়। কিছু মাশরুম আছে যেগুলো আমাদের শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কিন্তু অতিমাত্রায় খেলে তা অনেক ক্ষতি করে থাকে। চলুন তাহলে আমরা মাশরুম খাওয়ার উপকারিতা জেনে নেই।
কিছু মাশরুম আছে যেগুলো বিষাক্ত হিসেবে গণ্য করা হয় সে মাশরুমগুলো কখনোই খাওয়া উচিত নয়। ব্যাঙের ছাতার মতো এক ধরনের মাশরুম দেখা যায় যেটাকে বলা হয় বন্য মাশরুম। এই মাশরুমে রয়েছে বিষাক্ত পদার্থ। যা আমাদের শরীরের জন্য অতিরিক্ত ক্ষতিকর। এই মাশরুম খাবার ফলে আমাদের শরীরে অনেক রকম ক্ষতি হতে পারে এমনকি মৃত্যু হতে পারে।
বন্য মাশরুমে ভারী ধাতু থাকে যেটা শরীরের জন্য রোগ সৃষ্টি করে থাকে। বন্য মাশরুমে নানা রকম ক্ষতিকর উপাদান ও ভারী পদার্থ রয়েছে।
ছত্রাক জনিত মাশরুম তাই যাদের কিডনির সমস্যা রয়েছে তারা মাশরুম খেলে অসুস্থ হয়ে যেতে পারে।
যাদের ঘন ঘন ডায়রিয়া হয় তারা যদি মাশরুম খায় তবে তাদের ডায়রিয়া শুরু হয়ে যেতে পারে।
যেসব মাশরুম ঘরে জন্মে বাইরে বন জঙ্গলের জন্মে সেগুলো ক্ষতিকর মাশরুম সেগুলো দেখে বুঝে খাওয়া দরকার।
বাণিজ্যিকভাবে চাষ করা মাশরুম আমরা খাব। সে মাশরুমগুলো নিরাপত্তা।মাশরুম যদি চিনতে না পারেন তাহলে কখনোই সে মাশরুম খাবেন না।
মাশরুমে কি এলার্জি আছে
মাশরুমের অনেক রকম প্রজাতি রয়েছে যার কারণে যার কারনে পেটের সমস্যা ও এলার্জি হতে পারে। বন্য মাশরুমে এরকম ধরনের টক্সিন বেশি পাওয়া যায়। এতে পেটের সমস্যা ও বমি বমি ভাব হয়ে থাকে। মাশরুম খাওয়ার ফলে অনেক মানুষের শরীরে ফোলা এবং চুলকানো শুরু হতে পারে। মাশরুমে পলি স্যাকারাইড থাকার কারণে শরীরের এলার্জি হতে পারে।
তাই যাদের অ্যালার্জি রয়েছে তারা মাশরুম খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কারণ মাশরুমে অনেক সময় অ্যালার্জি হতে পারে।যাদের খাবারে এলার্জি রয়েছে তারা মাশরুম বর্জন করবেন। কারণ এলার্জিজনিত খাবার খেলে আপনি আরো অসুস্থ হয়ে যেতে পারেন। তবে ওয়েস্টার্ন মাশরুম এলার্জি প্রতিরোধ কার্যকরী। তাই এই মাশরুমটা আপনারা খেতে পারেন। সমাজরুমে যে অ্যালার্জি হবে তা কিন্তু নয়।
ওয়েস্টার মাশরুম এর উপকারিতা
মাশরুমে অনেক রকম ভিটামিন রয়েছে যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।
ওয়েস্টার মাশরুম হলে সেটা অনেক ভালো হয়। কারণে মাশরুমটি হচ্ছে উন্নত মানের এবং প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন রয়েছে। ওয়েস্টার মাশরুম হচ্ছে এক ধরনের মাশরুমের নাম। এই মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন রয়েছে নিয়মিত ওয়েস্টার মাশরুম খেলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি হয় এবং প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন পাওয়া যায়।
এই মাশরুম খেতে অতি সুস্বাদু। ওয়েস্টার মাশরুমে রয়েছে ভিটামিন ডি , বি এবং সি যা কোলেস্ট্রল কমাতে সহায়তা করে। এবং উচ্চ রক্তচাপ ও হৃৎপিণ্ড রোগকেও কমাতে সহায়তা করে। তাছাড়াও ওয়েস্টার মাশরুমে রয়েছে ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম এবং ৯০ থেকে ৮০ভাগ পানি। যার কারণে জন্ডিসের মতো অসুখ থেকে মুক্তি পাওয়া যায় ত্বককে সুন্দর রাখে এবং খাবার হজমে সহায়তা করে।ওয়েস্টার মাশরুম দেখতে অনেকটা ঝিনুকের মতো তাই এর নাম রাখা হয় ওয়েস্টার মাশরুম।
মাশরুম খাওয়ার নিয়ম
মাশরুম খাওয়ার নিয়ম জানতে গেলে বিভিন্ন রকম নিয়ম জানা যায়। কারণ একটি নির্দিষ্ট নিয়ম নাই। আশ্রম খাওয়ার নিয়ম অনেক রকম হয়ে থাকে এর কোন নির্দিষ্ট নিয়ম নেই। মাশরুম সালাত হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। শাক-সবজি, মাছ, মাংস সাথে মিশিয়ে মাশরুমকে রান্না করে সুস্বাদু করে খাওয়া যেতে পারে। এতে খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ হবে এবং শরীরের পুষ্টি উপাদান বৃদ্ধি পাবে। মাশরুম খাবার কয়েকটি নিয়ম নিচে দেয়া হল।
- মাশরুম ফুটন্ত গরম পানিতে রেখে ভালোভাবে ধুয়ে সবজির সাথে ফ্রাই করে রান্না করলে খেতে ভালো লাগে। বিভিন্ন প্রকার নাস্তা খাবার হিসেবেও খেতে পারেন।
- মাংসের সাথে মাশরুম রান্না করলে খাবারের গুণগতমান অনেকটা বেড়ে যায়। তাই মাংসের সাথে মাশরুম আমি সে রান্না করে খেতে পারেন যা আপনার শরীরের জন্য অনেক উপকারী।
- মাশরুম দিয়ে আপনি চাইলে মাংসের মত করে বিরিয়ানি রান্না করতে পারেন। চাল ও মাংসের সাথে সহজেই বিরিয়ানি তৈরি করা যেতে পারে।
- বিকালের নাস্তা তেও মাশরুম চায়ের সাথে পরিবেশন করা যেতে পারে। বিভিন্ন রকম সবজির সাথে পাকোড়া এবং মাশরুমকে আলাদাভাবে চপ তৈরি করে খেতে পারেন।
- আমাদের দেশে রেস্টুরেন্ট গুলোতে মাশরুম ব্যবহার করা হয়। শুধু আমাদের দেশের বলেই নয় পৃথিবীর যে কোন দেশেই মাশরুম ব্যবহার করা হয় সুপের মধ্যে।
- মাশরুমকে যদি সবজি নুডুলস এর সাথে দিয়ে রান্না করা যায় তো খেতে অনেক সুস্বাদু লাগে। তাই আপনারা নুডুলস তৈরি করার সময় শক্তির সাথে ছোট ছোট করে কেটে মাত্র দিতে পারেন।
মাশরুম এর দাম
- বিভিন্ন রকম মাশরুম চাষ করা হয়ে থাকে। যারা মাশরুম নিয়ে কাজ করে তারা বাসায় বিভিন্ন রকমেরই মাশরুম চাষ করে। মাশরুম যখন একরকম না তাহলে দামও অবশ্যই বিভিন্ন রকম হয়ে থাকবে। বিভিন্ন রকম মাশরুমের বিভিন্ন রকম দাম হয়। এবং দাম উঠা নামা করতে পারে। যেমন বর্তমানে এক কেজি বাটন মাশরুমের মূল্য৫০০ টাকা এবং এক কেজি গুড়ো ৪০০০ টাকা।
- ১ কেজি তাজা কান মাশরুম ২০০ টাকা এবং গুড়া কান মাশরুম ১২০০ টাকা।
- ওয়েস্টার মাশরুমের দাম ২৫০-৩৫০টাকা এবং গুড়া ওয়েস্টার মাশরুমের দাম ১৪০০ থেকে ১৮০০ টাকা হয়ে থাকে।
মাশরুমের কয়েক রকমের মজাদার খাবার রেসিপি
মাশরুমের কোপ্তা
উপকরণ
- মাশরুম ২৫০ গ্রাম
- বেসন ৩ টেবিল চামচ
- হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ
- লবণ পরিমাণ মতো
- মরিচ গুঁড়ো পরিমান মত
- সয়াবিন তেল এক কাপ
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে মাশরুম পরিষ্কার করে ধুয়ে কেটে নিতে হবে । তারপরে যতগুলো উপকরণ রয়েছে সবগুলো ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে সেই উপকরণগুলো ছোট ছোট বল আকারে ডুবো তেলে ভেজে নিন এবং গরম গরম পরিবেশন করুন।
মাশরুমের চপ
উপকরণ
- মাশরুম ২০০ গ্রাম
- আলু ১০০ গ্রাম
- ছোলার বেসন ২৫০ গ্রাম
- বাঁধাকপি ১০০ গ্রাম
- পিয়াজ 2 টি
- কাঁচামরিচ ৪ টি
- লবণ পরিমাণ মতো
- সয়াবিন তেল ৫০ গ্রাম
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে আলু সিদ্ধ করে নিতে হবে। সিদ্ধ করা আলুর সাথে মাশরুম বাঁধাকপি এবং কেটে রাখা পেঁয়াজ মরিচ লবণ সবকিছু একসাথে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। আলুর সাথে মিশিয়ে গোল গোল আকারে করে নিতে হবে। এরপর ফ্রাই প্যানে তেল গরম করতে দিন এবং অন্য একটি পাত্রে বেসন গুলে রাখুন। তেল গরম হয়ে আসলে গোল আকারে বল করে রাখা সেগুলো বেসনে ডুবিয়ে তেলে ভেজে নিন। এরপর গরম গরম পরিবেশন করুন।
মাশরুমের চিকেন সুপ
উপকরণ
- মাশরুম ২৫০ গ্রাম
- মুরগির স্টক ৪ কাপ
- কর্নফ্লাওয়ার ২ টেবিল চামচ
- ডিম কুসুম ছাড়া ২ টি
- দুধ ১ কাপ
- বাটার ৫০ গ্রাম
- আদা ৫০ গ্রাম
- লবণ পরিমাণ মতো
- টেস্টিং সল পরিমাণ মতো
প্রস্তুত প্রণালী
প্রথমে মুরগির স্টক তৈরি করে নিতে হবে। একটা মুরগি নিয়ে শুধু মাংসগুলো ২-২.৫ লিটার পানি দিয়ে সিদ্ধ করে নিন এর মধ্যে আদা ও লবণ দিতে হবে। আপনি যদি চান মুরগির স্টক করবেন না তাহলে বাজারে অনেক কিউট কিনতে পাওয়া যায় সেগুলো কিনেও সুপের জন্য ব্যবহার করতে পারেন। এবার প্যানে বাটার গরম করতে দিন তার মধ্যে মাশরুম ভেজে নিন।
পরিমাণ মতো গরম পানি মিশিয়ে মুরগির স্টকে ফুটিয়ে নিন। ভাজা মাশরুম গুলো এই ফুটন্ত স্টকে মিশিয়ে দিন তার মধ্যে ঠান্ডা পানিতে কর্নফ্লাওয়ার গোলের দিয়ে দিন। ডিমের কুসুম আলাদা করে নিয়ে সাদা অংশটা ফেটিয়ে রাখুন। সেই সাদা অংশটা সুপের মধ্যে ভালো করে মিশিয়ে নিন এরপর টেস্টিং সল্ট এবং দুধ মিশিয়ে নিন আপনার স্বাদ অনুযায়ী লবণ দিয়ে নামিয়ে নিন এবং গরম গরম পরিবেশন করুন।
মাশরুমের আচার
উপকরণ
- মাশরুম ২৫০ গ্রাম
- রসুন ১০ গ্রাম
- আদা ২০ গ্রাম
- পিঁয়াজ ১০০ গ্রাম
- শুকনো মরিচ ৫ গ্রাম
- মরিচের গুঁড়া ২ গ্রাম
- সরিষার গুড়া ২০ গ্রাম
- ভিনেগার আধা কাপ
- কাঁচা মরিচ ৬-৭
- সরিষার তেল ১০০ গ্রাম
- চিনি ১০০ গ্রাম
প্রস্তুত প্রণালী
মাশরুম টুকরো করে গরম পানির মধ্যে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট পরিস্কার করে নিন। এবার কড়াইয়ে তেল গরম করে আদা রসুন পিঁয়াজ বাটা মিশে নাড়তে থাকুন কিছুক্ষণ পরে এর মধ্যে মাশরুম গুলো দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর ভিনেগার চিনি এবং শুকনো যতগুলো মসলা আছে সব দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। ফুটিয়ে নিয়ে চুলার আচ কমিয়ে দিয়ে নাড়তে থাকুন ।এরপর চুলা থেকে নামিয়ে ঠান্ডা করে সংরক্ষণ করুন।
লেখকের শেষ মন্তব্য - মাশরুমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে জানতে পারলেন যে মাশরুমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন বিষয়। তাছাড়াও আপনারা জানতে পেরেছেন মাশরুমে এলার্জি আছে কিনা , মাশরুমের দাম কেমন হতে পারে এবং বিভিন্ন রকম রেসিপি সম্পর্কে। মানুষের শরীরে বিভিন্ন রকম রোগ হয়ে থাকে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় উপাদান হিসেবে মাশরুম কার্যকরী। মাশরুমকে বিভিন্ন রকম ভাবে রান্না করে খাওয়া যায় এতে সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর।মাশরুম সুস্বাদু এবং পুষ্টিকর হিসাবে রোগের মহা বিভিন্ন রোগের ওষুধ হিসাবেও কাজ করে।
আশা করি আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনাদের ভালো লেগেছে এবং মাশরুম সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে পেরেছেন। তাই আসুন মাশরুম সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য নিজের জেনে এবং অন্যকে জানতে সহায়তা করি এই আর্টিকেলটি অন্য কেউ করতে সহায়তা করুন। আমার এই আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনাদের বন্ধু স্বজনদের শেয়ার করুন এবং আমার ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন। আপনার মূল্যবান সময় দিয়ে আর্টিকেলটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ।
সাদ বি ডি নীতিমালা; মেনেকমেন্টকরুনপ্রতিটিকমেন্টরিভিউকরাহয়;
comment url